Monday, 8 December 2014

ওটা কিছু নয়

- নির্মলেন্দু গুণ

এইবার হাত দাও, টের পাচ্ছো আমার অস্তিত্ব ? পাচ্ছো না ?
একটু দাঁড়াও আমি তৈরী হয়ে নিই ।
এইবার হাত দাও, টের পাচ্ছো আমার অস্তিত্ব ? পাচ্ছো না ?
তেমার জন্মান্ধ চোখে শুধু ভুল অন্ধকার । ওটা নয়, ওটা চুল ।
এই হলো আমার আঙ্গুল, এইবার স্পর্শ করো,–না, না, না,
-ওটা নয়, ওটা কন্ঠনালী, গরলবিশ্বাসী এক শিল্পীর
মাটির ভাস্কর্য, ওটা অগ্নি নয়, অই আমি–আমার যৌবন ।
সুখের সামান্য নিচে কেটে ফেলা যন্ত্রণার কবন্ধ–প্রেমিক,
ওখানে কী খোঁজ তুমি ? ওটা কিছু নয়, ওটা দুঃখ ;
রমণীর ভালোবাসা না-পাওয়ার চিহ্ন বুকে নিয়ে ওটা নদী,
নীল হয়ে জমে আছে ঘাসে,–এর ঠিক ডানপাশে , অইখানে
হাত দাও, হ্যাঁ, ওটা বুক, অইখানে হাত রাখো, ওটাই হৃদয় ।
অইখানে থাকে প্রেম, থাকে স্মৃতি, থাকে সুখ, প্রেমের সিম্ফনি ;
অই বুকে প্রেম ছিল, স্মৃতি ছিল, সব ছিল তুমিই থাকো নি ।

Friday, 5 December 2014

কথোপকথন ৩০

- পুর্ণেন্দু পত্রী


—তুমি আমার সর্বনাশ করেছ শুভঙ্কর ।
কিচ্ছু ভাল লাগে না আমার ।কিচ্ছু না ।
জলন্ত উনুনে ভিজা কয়লার ধোঁয়া
আর শ্বাস কষ্ট ঘিরে ফেলেছে আমার দশদিগন্ত।
এখন বৃষ্টি নামলেই কানে আসে নদীর পাড় ভাঙ্গার অকল্যান শব্দ
এখন জোত্‍স্না ফুটলেই দেখতে পাই
অন্ধকার শশ্মানযাত্রীর মতো ছুটে চলেছে মৃতদেহের খোঁজে।
কিচ্ছু ভাল লাগে না আমার।কিচ্ছু না।
আগে আয়নার সামনে ঘন্টার পর
ঘন্টা সাজগোজ
পাউডারে, সাবানে, সেন্টে, সুরমায়
নিজেকে যেন কেচে ফর্সা করে তোলার মত সুখ।
এখন প্রতিবিম্বের দিকে তাকালেই
সমস্ত মুখ ভরে যায় গোল মরিচের মত ব্রণে, বিস্বাদে বিপন্নতায়।
এখন সমস্ত স্বপ্নই যেন বিকট মুখোশের হাসাহাসি
দুঃস্বপ্নকে পার হওয়ার সমস্ত
সাঁকো ভেঙ্গে চুরমার।
কিচ্ছু ভাল লাগে না আমার। কিচ্ছু না।

—তুমিও কি আমার সর্বনাশ করনি নন্দিনী?
আগে গোল মরিচের মত এতটুকু ছিলাম আমি।
আমার এক ফোঁটা খাঁচাকে
তুমিই করে দিয়েছ লম্বা দালান।
আগাছার জমিতে বুনে দিয়েছ জলন্ত উদ্ভিদের দিকচিহ্নহীন
বিছানা।
এখন ঘরে টাঙ্গানোর জন্য একটা গোটা আকাশ না পেলে
আমার ভাল লাগে না।
এখন হাঁটা-চলার সময় মাথায় রাজছত্র না ধরলে
আমার ভাল লাগে না।
পৃথিবীর মাপের চেয়ে অনেক বড় করে দিয়েছ আমার লাল বেলুন।
গোল মরিচের মত এই একরত্তি পৃথিবীকে
আর ভালো লাগে না আমার।

তখন সত্যি মানুষ ছিলাম

– আসাদ চৌধুরী 

নদীর জলে আগুন ছিল
আগুন ছিল বৃষ্টিতে
আগুন ছিল বীরাঙ্গনার
উদাস করা দৃষ্টিতে।
আগুন ছিল গানের সুরে
আগুন ছিল কাব্যে,
মরার চোখে আগুন ছিল
এ কথা কে ভাববে ?
কুকুর-বেড়াল থাবা হাঁকায়
ফোঁসে সাপের ফণা
শিং কৈ মাছ রুখে দাঁড়ায়
জ্বলে বালির কণা।
আগুন ছিল মুক্তিসেনার
স্বপ্ন-ঢলের বন্যায়-
প্রতিবাদের প্রবল ঝড়ে
কাঁপছিল সব অন্যায়।
এখন এসব স্বপ্নকথা
দূরের শোনা গল্প,
তখন সত্যি মানুষ ছিলাম
এখন আছি অল্প।

 

Thursday, 4 December 2014

মানুষ  

নির্মলেন্দু গুণ

 
আমি হয়তো মানুষ নই, মানুষগুলো অন্যরকম,
হাঁটতে পারে, বসতে পারে, এ-ঘর থেকে ও-ঘরে যায়,
মানুষগুলো অন্যরকম, সাপে কাটলে দৌড়ে পালায় ।
আমি হয়তো মানুষ নই, সারাটা দিন দাঁড়িয়ে থাকি,
গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকি।
সাপে কাটলে টের পাই না, সিনেমা দেখে গান গাই না,
অনেকদিন বরফমাখা জল খাই না ।
কী করে তfও বেঁচে থাকছি, ছবি আঁকছি,
সকালবেলা, দুপুরবেলা অবাক করে
সারাটা দিন বেঁচেই আছি আমার মতে । অবাক লাগে ।
আমি হয়তো মানুষ নই, মানুষ হলে জুতো থাকতো,
বাড়ি থাকতো, ঘর থাকতো,
রাত্রিবেলায় ঘরের মধ্যে নারী থাকতো,
পেটের পটে আমার কালো শিশু আঁকতো ।
আমি হয়তো মানুষ নই,
মানুষ হলে আকাশ দেখে হাসবো কেন ?
মানুষগুলো অন্যরকম, হাত থাকবে,
নাক থাকবে, তোমার মতো চোখ থাকবে,
নিকেলমাখা কী সুন্দর চোখ থাকবে
ভালোবাসার কথা দিলেই কথা রাখবে ।
মানুষ হলে উরুর মধ্যে দাগ থাকতো ,
বাবা থাকতো, বোন থাকতো,
ভালোবাসার লোক থাকতো,
হঠাৎ করে মরে যাবার ভয় থাকতো ।
আমি হয়তো মানুষ নই,
মানুষ হলে তোমাকে নিয়ে কবিতা লেখা
আর হতো না, তোমাকে ছাড়া সারাটা রাত
বেঁচে থাকাটা আর হতো না ।
মানুষগুলো সাপে কাটলে দৌড়ে পালায় ;
অথচ আমি সাপ দেখলে এগিয়ে যাই,
অবহেলায় মানুষ ভেবে জাপটে ধরি ।

Wednesday, 3 December 2014

সেই গল্পটা

- পুর্ণেন্দু পত্রী

আমার সেই গল্পটা এখনো শেষ হয়নি।
শোনো।
পাহাড়টা, আগেই বলেছি
ভালোবেসেছিল মেঘকে
আর মেঘ কী ভাবে শুকনো খটখটে পাহাড়টাকে
বানিয়ে তুলেছিল ছাব্বিশ বছরের ছোকরা
সে তো আগেই শুনেছো।
সেদিন ছিল পাহাড়টার জন্মদিন।
পাহাড় মেঘেকে বললে
আজ তুমি লাল শাড়ি পরে আসবে।
মেঘ পাহাড়কে বললে
আজ তোমাকে স্মান করিয়ে দেবো চন্দন জলে।
ভালোবাসলে নারীরা হয়ে যায় নরম নদী
পুরুষেরা জ্বলন্ত কাঠ।
সেইভাবেই মেঘ ছিল পাহাড়ের আলিঙ্গনেরআগুনে
পাহাড় ছিল মেঘের ঢেউ-জলে।
হঠাৎ,
আকাশ জুড়ে বেজে উঠল ঝড়ের জগঝম্প
ঝাঁকড়া চুল উড়িয়ে ছিনতাইয়ের ভঙ্গিতে ছুটে এল
এক ঝাঁক হাওয়া
মেঘের আঁচলে টান মেরে বললে
ওঠ্ ছুড়ি! তোর বিয়ে।
এখনো শেষ হয়নি গল্পটা।
বজ্রের সঙ্গে মেঘের বিয়েটা হয়ে গেল ঠিকই
কিন্তু পাহাড়কে সে কোনোদিন ভুলতে পারল না।
বিশ্বাস না হয় তো চিরে দেখতো পারো
পাহাড়টার হাড় পাঁজর,
ভিতরে থৈ থৈ করছে
শত ঝর্ণার জল।

Tuesday, 2 December 2014

হঠাৎ দেখা

- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 
রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা,
                 ভাবি নি সম্ভব হবে কোনোদিন।
      আগে ওকে বারবার দেখেছি
            লালরঙের শাড়িতে
                 দালিম ফুলের মতো রাঙা;
আজ পরেছে কালো রেশমের কাপড়,
                 আঁচল তুলেছে মাথায়
      দোলনচাঁপার মতো চিকনগৌর মুখখানি ঘিরে।
            মনে হল, কালো রঙে একটা গভীর দূরত্ব
                     ঘনিয়ে নিয়েছে নিজের চার দিকে,
                 যে দূরত্ব সর্ষেখেতের শেষ সীমানায়
                      শালবনের নীলাঞ্জনে।
                     থমকে গেল আমার সমস্ত মনটা;
      চেনা লোককে দেখলেম অচেনার গাম্ভীর্যে।
            হঠাৎ খবরের কাগজ ফেলে দিয়ে
                     আমাকে করলে নমস্কার।
            সমাজবিধির পথ গেল খুলে,
                      আলাপ করলেম শুরু --
            কেমন আছ, কেমন চলছে সংসার
                             ইত্যাদি।
      সে রইল জানলার বাইরের দিকে চেয়ে
যেন কাছের দিনের ছোঁয়াচ-পার-হওয়া চাহনিতে।
      দিলে অত্যন্ত ছোটো দুটো-একটা জবাব,
            কোনোটা বা দিলেই না।
      বুঝিয়ে দিলে হাতের অস্থিরতায় --
            কেন এ-সব কথা,
      এর চেয়ে অনেক ভালো চুপ করে থাকা।
                 আমি ছিলেম অন্য বেঞ্চিতে
                       ওর সাথিদের সঙ্গে।
এক সময়ে আঙুল নেড়ে জানালে কাছে আসতে।
            মনে হল কম সাহস নয়;
                 বসলুম ওর এক-বেঞ্চিতে।
গাড়ির আওয়াজের আড়ালে
                         বললে মৃদুস্বরে,
                 "কিছু মনে কোরো না,
            সময় কোথা সময় নষ্ট করবার।
      আমাকে নামতে হবে পরের স্টেশনেই;
               দূরে যাবে তুমি,
      দেখা হবে না আর কোনোদিনই।
    তাই যে প্রশ্নটার জবাব এতকাল থেমে আছে,
      শুনব তোমার মুখে।
            সত্য করে বলবে তো?
আমি বললেম, "বলব।"
      বাইরের আকাশের দিকে তাকিয়েই শুধোল,
"আমাদের গেছে যে দিন
      একেবারেই কি গেছে,
            কিছুই কি নেই বাকি।"
একটুকু রইলেম চুপ করে;
      তারপর বললেম,
      "রাতের সব তারাই আছে
              দিনের আলোর গভীরে।"
খটকা লাগল, কী জানি বানিয়ে বললেম না কি।
    ও বললে, "থাক্‌, এখন যাও ও দিকে।"
           সবাই নেমে গেল পরের স্টেশনে;
                          আমি চললেম একা।

Monday, 1 December 2014

কথোপকথন – ৪

পুর্ণেন্দু পত্রী


- যে কোন একটা ফুলের নাম বল
- দুঃখ ।
- যে কোন একটা নদীর নাম বল
- বেদনা ।
- যে কোন একটা গাছের নাম বল
- দীর্ঘশ্বাস ।
- যে কোন একটা নক্ষত্রের নাম বল
- অশ্রু ।
- এবার আমি তোমার ভবিষ্যত বলে দিতে পারি ।
- বলো ।
- খুব সুখী হবে জীবনে ।
শ্বেত পাথরে পা ।
সোনার পালঙ্কে গা ।
এগুতে সাতমহল
পিছোতে সাতমহল ।
ঝর্ণার জলে স্নান
ফোয়ারার জলে কুলকুচি ।
তুমি বলবে, সাজবো ।
বাগানে মালিণীরা গাঁথবে মালা
ঘরে দাসিরা বাটবে চন্দন ।
তুমি বলবে, ঘুমবো ।
অমনি গাছে গাছে পাখোয়াজ তানপুরা,
অমনি জোৎস্নার ভিতরে এক লক্ষ নর্তকী ।
সুখের নাগর দোলায় এইভাবে অনেকদিন ।
তারপর
বুকের ডান পাঁজরে গর্ত খুঁড়ে খুঁড়ে
রক্তের রাঙ্গা মাটির পথে সুড়ঙ্গ কেটে কেটে
একটা সাপ
গায়ে বালুচরীর নকশা
নদীর বুকে ঝুঁকে-পড়া লাল গোধূলি তার চোখ
বিয়েবাড়ির ব্যাকুল নহবত তার হাসি,
দাঁতে মুক্তোর দানার মত বিষ,
পাকে পাকে জড়িয়ে ধরবে তোমাকে
যেন বটের শিকড়
মাটিকে ভেদ করে যার আলিঙ্গন ।
ধীরে ধীরে তোমার সমস্ত হাসির রং হলুদ
ধীরে ধীরে তোমার সমস্ত সোনার গয়নায় শ্যাওলা
ধীরে ধীরে তোমার মখমল বিছানা
ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে, ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে সাদা ।
- সেই সাপটা বুঝি তুমি ?
- না ।
- তবে ?
- স্মৃতি ।
বাসর ঘরে ঢুকার সময় যাকে ফেলে এসেছিলে
পোড়া ধুপের পাশে ।

কথোপকথন ১১ 

 – পুর্ণেন্দু পত্রী


– তুমি আজকাল বড্ড সিগারেট খাচ্ছ শুভন্কর।
– এখুনি ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি…
কিন্তু তার বদলে??
–বড্ড হ্যাংলা। যেন খাওনি কখনো?
– খেয়েছি।
কিন্তু আমার খিদের কাছে সে সব নস্যি।
কলকাতাকে এক খাবলায় চিবিয়ে খেতে পারি আমি,
আকাশটাকে ওমলেটের মতো চিরে চিরে,
নক্ষত্রগুলোকে চিনেবাদামের মতো টুকটাক করে,
পাহাড়গুলোকে পাঁপর ভাজার মতো মড়মড়িয়ে,
আর গঙ্গা?
সে তো এক গ্লাস সরবত।
–থাক। খুব বীরপুরুষ।
–সত্যি তাই…
পৃথিবীর কাছে আমি এই রকমই ভয়ংকর বিস্ফোরণ।
কেবল তোমার কাছে এলেই দুধের বালক,
কেবল তোমার কাছে এলেই ফুটপাতের নুলো ভিখারি,
এক পয়সা, আধ পয়সা কিংবা এক টুকরো পাউরুটির বেশী আর কিছু ছিনিয়ে নিতে পারিনা।
–মিথ্যুক..।
–কেন?
–সেদিন আমার সর্বাঙ্গের শাড়ি ধরে টান মারনি?
– হতে পারে।
ভিখারিদের কি ডাকাত হতে ইচ্ছে করবে না একদিনও??

Wednesday, 15 October 2014

প্রদোষচন্দ্র মিত্র ওরফে ফেলুদা সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র। ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বর মাসের সন্দেশ পত্রিকায় ফেলুদা সিরিজের প্রথম গল্প "ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি" প্রকাশিত হয়। ১৯৬৫ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত এই সিরিজের মোট ৩৫টি সম্পূর্ণ ও চারটি অসম্পূর্ণ গল্প ও উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। ফেলুদার প্রধান সহকারী তাঁর খুড়তুতো ভাই তপেশরঞ্জন মিত্র ওরফে তোপসে ও লেখক লালমোহন গাঙ্গুলি (ছদ্মনাম জটায়ু)।

ফেলুদা সিরিজের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র

তপেশরঞ্জন মিত্র ফেলুদার খুড়তুতো ভাই। ফেলুদার দেওয়া তোপসে নামেই অধিক পরিচিত। এই চরিত্রটি আর্থার কনান ডয়েলের জন ওয়াটসন চরিত্র দ্বারা অনুপ্রাণিত। তোপসে ফেলুদার সর্বক্ষণের সঙ্গী। ফেলুদার প্রায় সব অভিযানের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা সে লিপিবদ্ধ করে। তোপসের বাবা সম্পর্কে ফেলুদার কাকা। ফেলুদা তার কাকার পরিবারেরর সঙ্গেই ২১,রজনী সেন রোড,কলকাতা-৭০০০২৯-র বাড়িতে থাকে। দক্ষিণ কলকাতায় রজনী সেন রোড থাকলেও ২১ নম্বর বাড়িটি অস্তিত্বহীন। লালমোহন গাঙ্গুলি বা লালমোহনবাবু ফেলুদার বন্ধু। ইনি জটায়ু ছদ্মনামে রহস্য-রোমাঞ্চ উপন্যাস লেখেন। লালমোহনবাবু বাংলায় রহস্য-রোমাঞ্চ সিরিজের একজন জনপ্রিয় লেখক এবং তার নিজের মতে সারা ভারতে তার অনুগামীরা ছড়িয়ে আছে। তাঁর লেখা উপন্যাসগুলির প্রধান চরিত্র সাড়ে ছয় ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট গোয়েন্দা প্রখর রুদ্র। তাঁর অবিশ্বাস্য গল্পগুলি বেস্টসেলার হলেও বইগুলোতে মাঝে মাঝে খুবই সাধারণ ভুল থাকে, যেগুলো ফেলুদাকে শুধরে দিতে হয়। লালমোহনবাবুর একটি "মাদ্রাজী সবুজ" এ্যাম্বাসেডর গাড়ি আছে যা ফেলুদার অনেক অভিযানের নির্ভরযোগ্য বাহন। সোনার কেল্লা গল্পে ফেলুদা ও তোপসের যোধপুর গমনকালে কানপুরে ট্রেনে প্রথম জটায়ু চরিত্রের আবির্ভাব ঘটে। সিধুজ্যাঠা ফেলুদার বাবার বন্ধু। ফেলুদাকে প্রায়ই অসাধারণ স্মৃতিশক্তি এবং সাধারণ জ্ঞানের অধিকারী সিধুজ্যাঠার কাছে বিভিন্ন জিজ্ঞাসা নিয়ে দ্বারস্থ হতে হয় । মগনলাল মেঘরাজ ফেলুদার অন্যতম শত্রু। ফেলুদা বেশ কয়েকটি কাহিনীতে তার মোকাবিলা করে। জয় বাবা ফেলুনাথ এবং যত কাণ্ড কাঠমান্ডুতে এর মধ্যে প্রধান। (সূত্রঃ উকিপিডিয়া)

ফেলুদা সমগ্র ডাউনলোড লিঙ্ক

 
গল্প/উপন্যাস গ্রন্থভুক্তি অতিরিক্ত তথ্য  কাহিনি-সংক্ষেপ
ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি (Feludar Goendagiri)(গল্প) এক ডজন গপ্‌পো, ১৯৭০ পাহাড়ে ফেলুদা, ১৯৯৬ প্রথম ফেলুদা-গল্প
বাদশাহী আংটি (উপন্যাস) বাদশাহী আংটি, ১৯৬৯ ফেলুদার সপ্তকাণ্ড, ১৯৯৮ প্রথম ফেলুদা-উপন্যাস
কৈলাস চৌধুরীর পাথর (গল্প) এক ডজন গপ্‌পো, ১৯৭০ কলকাতায় ফেলুদা, ১৯৯৮ -
শেয়াল-দেবতা রহস্য (গল্প) আরো এক ডজন, ১৯৭৬ কলকাতায় ফেলুদা, ১৯৯৮ -
গ্যাংটকে গণ্ডগোল (উপন্যাস) গ্যাংটকে গণ্ডগোল, ১৯৭১ পাহাড়ে ফেলুদা, ১৯৯৬
সোনার কেল্লা (উপন্যাস) সোনার কেল্লা, ১৯৭২ ফেলুদার সপ্তকাণ্ড, ১৯৯৮ প্রথম চলচ্চিত্রায়িত ফেলুদা উপন্যাস
বাক্স-রহস্য (উপন্যাস) বাক্স-রহস্য, ১৯৭৩ ফেলুদার পান্‌চ, ২০০০
কৈলাসে কেলেঙ্কারি (উপন্যাস) কৈলাসে কেলেঙ্কারি, ১৯৭৪ ফেলুদার সপ্তকাণ্ড, ১৯৯৮
সমাদ্দারের চাবি (গল্প) আরো এক ডজন, ১৯৭৬ ফেলুদা একাদশ, ২০০০ -
রয়েল বেঙ্গল রহস্য (Royal Bengal  Rohosso) (উপন্যাস) রয়েল বেঙ্গল রহস্য, ১৯৭৫ ফেলুদার পান্‌চ, ২০০০ -
ঘুরঘুটিয়ার ঘটনা (গল্প) আরো এক ডজন, ১৯৭৬ ফেলুদা একাদশ, ২০০০ -
জয় বাবা ফেলুনাথ (উপন্যাস) জয় বাবা ফেলুনাথ, ১৯৭৬ ফেলুদার সপ্তকাণ্ড, ১৯৯৮ দ্বিতীয় চলচ্চিত্রায়িত ফেলুদা-উপন্যাস
বোম্বাইয়ের বোম্বেটে (উপন্যাস) ফেলুদা এণ্ড কোং, ১৯৭৭ ফেলুদা একাদশ, ২০০০ সন্দীপ রায় কর্তৃক চলচ্চিত্রায়িত
গোঁসাইপুর সরগরম (উপন্যাস) ফেলুদা এণ্ড কোং, ১৯৭৭ ফেলুদা একাদশ, ২০০০ -
গোরস্থানে সাবধান (Gorosthane Sabdhan)(উপন্যাস) গোরস্থানে সাবধান!, ১৯৭৯ কলকাতায় ফেলুদা, ১৯৯৮ -চলচ্চিত্রায়িত ফেলুদা-উপন্যাস
ছিন্নমস্তার অভিশাপ (উপন্যাস) ছিন্নমস্তার অভিশাপ, ১৯৮১ ফেলুদার পান্‌চ, ২০০০ -
হত্যাপুরী (উপন্যাস) হত্যাপুরী, ১৯৮১ ফেলুদার সপ্তকাণ্ড, ১৯৯৮ -
গোলোকধাম রহস্য (গল্প) আরো বারো, ১৯৮১ কলকাতায় ফেলুদা, ১৯৯৮ -
যত কাণ্ড কাঠমাণ্ডুতে (উপন্যাস) যত কাণ্ড কাঠমাণ্ডুতে, ১৯৮১ পাহাড়ে ফেলুদা, ১৯৯৬ -
নেপোলিয়নের চিঠি (গল্প) ফেলুদা ওয়ান ফেলুদা টু, ১৯৮৫ ফেলুদা একাদশ, ২০০০ -
টিনটোরেটোর যীশু (উপন্যাস) টিনটোরেটোর যীশু, ১৯৮৫ ফেলুদার পান্‌চ, ২০০০ সন্দীপ রায় কর্তৃক চলচ্চিত্রায়িত
অম্বর সেন অন্তর্ধান রহস্য (গল্প) এবারো বারো, ১৯৮৪ কলকাতায় ফেলুদা, ১৯৯৮ -
জাহাঙ্গীরের স্বর্ণমুদ্রা (গল্প) এবারো বারো, ১৯৮৪ ফেলুদা একাদশ, ২০০০ -
এবার কাণ্ড কেদারনাথে (গল্প) ফেলুদা ওয়ান ফেলুদা টু, ১৯৮৫ পাহাড়ে ফেলুদা, ১৯৯৬ -
বোসপুকুরে খুনখারাপি (গল্প) একের পিঠে দুই, ১৯৮৮ কলকাতায় ফেলুদা, ১৯৯৮ -
দার্জিলিং জমজমাট (উপন্যাস) দার্জিলিং জমজমাট, ১৯৮৮ পাহাড়ে ফেলুদা, ১৯৯৬ -
অপ্সরা থিয়েটারের মামলা (গল্প) ডবল ফেলুদা, ১৯৮৯ কলকাতায় ফেলুদা, ১৯৯৮ -
ভূস্বর্গ ভয়ংকর (গল্প) ডবল ফেলুদা, ১৯৮৯ পাহাড়ে ফেলুদা, ১৯৯৬ -
শকুন্তলার কণ্ঠহার (গল্প) আরো সত্যজিৎ, ১৯৯৩ ফেলুদার সপ্তকাণ্ড, ১৯৯৮ -
লন্ডনে ফেলুদা (গল্প) ফেলুদা প্লাস ফেলুদা, ১৯৯২ ফেলুদা একাদশ, ২০০০ -
ড. মুন্সির ডায়রি (Dr. Munsir Diary)(গল্প) বাঃ! বারো, ১৯৯৪ কলকাতায় ফেলুদা, ১৯৯৮ -
নয়ন রহস্য (উপন্যাস) নয়ন রহস্য, ১৯৯১ ফেলুদার পান্‌চ, ২০০০ -
রবার্টসনের রুবি (উপন্যাস) রবার্টসনের রুবি, ১৯৯১ ফেলুদা একাদশ, ২০০০ সর্বশেষ সম্পূর্ণ ফেলুদা উপন্যাস
গোলাপী মুক্তা রহস্য (গল্প) ফেলুদা প্লাস ফেলুদা, ১৯৯১ ফেলুদার সপ্তকাণ্ড, ১৯৯৮ সর্বশেষ সম্পূর্ণ ফেলুদা উপন্যাস
ইন্দ্রজাল রহস্য (গল্প) কলকাতায় ফেলুদা, ১৯৯৮ কলকাতায় ফেলুদা, ১৯৯৮ সর্বশেষ সম্পূর্ণ ফেলুদা-গল্প
বাক্স রহস্য (প্রথম খসড়া) (অসম্পূর্ণ) ফেলুদা একাদশ, ২০০০ -
তোতা রহস্য (প্রথম ও দ্বিতীয় খসড়া) (অসম্পূর্ণ) ফেলুদা একাদশ, ২০০০ -
আদিত্য বর্ধনের আবিষ্কার (অসম্পূর্ণ)
 

ফেলুদা কমিকস

১। দার্জিলিং জমজমাট (darjiling-jomjomat) ২। গ্যাংটকে গণ্ডগোল (gangtoke-gondogol) ৩। গোসাইপুর সরগরম (gosaipur-sargaram) ৪। জাহাঙ্গীরের স্বর্ণমুদ্রা (jahangirer-sornomudra) ৫। নেপোলিয়ানের চিঠি (nepolioner-chiti) ৬। রবার্টসন এর রুবি (robertson-er-rubi) ৭। রয়াল বেঙ্গল রহস্য (royal-bengal-rohossya) ৮। শেয়াল দেবতা রহস্য (seal-debota-rohossyo)

Wednesday, 8 October 2014

কলকাতার বিখ্যাত সানডে সাসপেন্স প্রোগ্রামের এর নাম অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন। রেডিও মিরচি এর সানডে সাপপেন্স এ সত্যজিৎ রায় সহ বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত বিখ্যাত সব লেখকদের গোয়েন্দা, ভৌতিক এবং রহস্য গল্প/উপন্যাস এর অডিও ভার্সন প্রচার করা হয় এই প্রোগ্রামে। অডিও বই গুলোতে বিভিন্ন সময়ে কণ্ঠস্বর প্রধান করে থাকে মিরাক্কেল এর মীর, দ্বীপ, সব্যসাচী চট্টপাধ্যায়, নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায় সহ আরো অনেকেই। আজ আপনাদের জন্য ৫৬ টি অডিও বই আপলোড করা হলো। ভবিষ্যতে আরো অনেক অডিও বই আপলোড করা হবে। তাই আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেইসবুক পেইজে
  1. আয়না
  2. অদ্বিতীয়
  3. অকৃতজ্ঞ
  4. আলফাস বার্টিনো – নারায়ন চক্রবর্তী ও এ স্ক্যান্ডাল ইন বোহেমিয়া – শার্লক হোমস
  5. অমরধাম
  6. আমি অর্জুন – পার্ট ১
  7. অনাথ বাবুর ভয়
  8. আংটি – সরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
  9. বাঁচা মরা – সৈয়দ মোস্তফা সিরাজ
  10. বাদশাহী আংটি (ফেলুদা সিরিজ) - পার্ট ১
  11. বাদশাহী আংটি (ফেলুদা সিরিজ) – পার্ট ২
  12. বাদুড় বিভেসিকা – সত্যজিৎ রায়
  13. বাঘনোক
  14. বাতিক বাবু – সত্যজিৎ রায়
  15. বেনী লাসকারের মুন্ডু – সনীল গঙ্গোপাধ্যায়
  16. ভূত এফ এম
  17. ভূত ভবিষ্যৎ
  18. ভূতো
  19. ভূতের চেয়ে অদ্ভুত
  20. বিজয় নগরের হীরে (কাকাবাবু সিরিজ) – চ্যাপ্টার ১
  21. বিজয় নগরের হীরে (কাকাবাবু সিরিজ) – চ্যাপ্টার ২
  22. বিজয় নগরের হীরে (কাকাবাবু সিরিজ) – চ্যাপ্টার ৩
  23. বিষফুল – সত্যজিৎ রায়
  24. বোমাইবাবুর জঙ্গলে – সত্যজিৎ রায়
  25. খুঁজি খুঁজি নারী (বোমকেশ বকসী)
  26. বঙ্কুবাবুর বন্ধু
  27. ব্রাজিল এর কালো বাঘ – সত্যজিৎ রায়
  28. বৃহৎ চঞ্চু – সত্যজিৎ রায়
  29. ব্রাউন সাহেবের বাড়ি
  30. বুদ্ধির বাহিরে
  31. বোমক্যাশ বকসী – সজারুর কাঁটা
  32. চাঁদের পাহাড়
  33. চুড়ি
  34. চিলের ছাঁদের ঘর
  35. দেহান্তর
  36. ডুমুলঘরের হান্টিং লজ
  37. ডঃ মুন্সীর ডায়েরী (ফেলুদা সিরিজ)
  38.  ডঃ সেরিং এর স্মরণশক্তি
  39. একটি ভৌতিক কাহিনী – প্রভাত কুমার মুখ্যপাধ্যায়
  40. ফাঁসীর আসামি
  41. ফেলুদার গোয়ান্দাগিরি
  42. ফার্স্টক্লাস ক্যামেরা
  43. গগণ চৌধুরীর স্টুডিও
  44. গন্ধটা খুব সন্দেহজনক – শীর্ষেন্দু মূখার্জি
  45. গ্যংকটকে গণ্ডগোল (ফেলুদা সিরিজ) – পার্ট ১
  46. গ্যংকটকে গণ্ডগোল (ফেলুদা সিরিজ) – পার্ট ২
  47. ঘাট বাবু – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
  48. ঘুরঘুটিয়ার ঘটনা
  49. গোলকধাম রহস্য (ফেলুদা সিরিজ)
  50. গল্পের শেষে – পেমেন্দ্র মিত্র
  51. গঙ্গাধরের বিপদ – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
  52. গৌশাইপুর সরগরম (ফেলুদা সিরিজ)
  53. গুপ্তধন
  54. হাতির দাঁতের কাজ
  55. হেশোরাম হুঁশিয়ারের ডায়েরী
  56. হরির হোটেল – সৈয়দ মোস্তফা সিরাজ

প্রিয় কবিতারা...